প্লিজ কেউ খারাপ মন্তব্য করবেন না… 🙏🙏 আমার বয়স একুশ প্লাস। আমি আগে অনেক মাস্টারবেশন করতাম। কিন্তু আমি এখন চাই এসব করব না। কিন্তু আমার খুব উত্তেজিত হয়ে যায়।তারপরে মাস্টারবেশন করি আর আমি কিছুদিনের মধ্যে বাইরে চলে যাবো। বিয়ে করিনি। এখন এ অবস্থা থেকে বের হয়ে যাওয়ার উপায় কি…?

আপনার অনুভূতিটা খুব স্বাভাবিক, আর আপনার প্রশ্নে কোনো খারাপ কিছু নেই ❤️
২১–২২ বছর বয়সে যৌন উত্তেজনা, হরমোনাল পরিবর্তন আর কৌতূহল একদম নরমাল ব্যাপার। আপনি একা নন—এটা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই হয়।

আপনি যেটা বলেছেন (“আমি আর করতে চাই না, কিন্তু উত্তেজিত হয়ে যাই”) এটা আসলে হ্যাবিট + শরীরের হরমোন – দুটোই একসাথে কাজ করছে। তাই হঠাৎ একেবারে বাদ দেওয়া কঠিন হয়।

চলুন ধাপে ধাপে যেটা করলে আপনি ধীরে ধীরে বের হয়ে আসতে পারবেন সেটা বলি 👇


📝 ধাপে ধাপে সমাধান

১️⃣ ছোট ছোট লক্ষ্য নিন

একেবারে “আজ থেকে আর কখনো করব না” বললে মস্তিষ্ক রেজিস্ট করে না।
প্রথমে ঠিক করুন – সপ্তাহে যতবার করেন, সেটাকে কমাতে শুরু করবেন (যেমন ৫ বার করলে ৩ বার, তারপর ২ বার)।

২️⃣ ট্রিগার চিহ্নিত করুন

যে সময়, যে পরিস্থিতি বা ভিডিও/ছবি/ভাবনা থেকে উত্তেজনা হয় – সেটা নোট করুন।
যেমন একা ঘরে থাকলে বা ফোনে নির্দিষ্ট কনটেন্ট দেখলে।
এই ট্রিগারগুলো এড়িয়ে চলুন।

৩️⃣ ব্যায়াম শুরু করুন

শারীরিক ব্যায়াম (দৌড়ানো, পুশ আপ, জিম, খেলাধুলা) করলে শরীরের এনার্জি খরচ হয়, টেস্টোস্টেরনও স্বাস্থ্যকরভাবে ব্যবহার হয়।
এতে উত্তেজনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

৪️⃣ রুটিন বদলান

ঘুম ঠিক রাখুন, পড়াশোনা/কাজের প্ল্যান করুন।
দিনের ফাঁকা সময়ের বদলে সক্রিয় থাকুন।
যত কম ফাঁকা সময়, তত কম সুযোগ।

৫️⃣ মেডিটেশন/নামাজ/প্রার্থনা

মন শান্ত রাখে, ইম্পালস কন্ট্রোল বাড়ায়।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (breathing exercise) করলে আকস্মিক উত্তেজনা কিছুটা কমে যায়।

৬️⃣ ভুল করলে নিজেকে দোষ দেবেন না

হঠাৎ এক-দুদিন আবার হলে চিন্তা করবেন না।
এটা আসলে ধীরে ধীরে কমে।


📍 যদি এটা আপনার কষ্টের কারণ হয়

যদি দেখেন বারবারই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না আর মানসিক চাপ বাড়ছে, তাহলে একজন কাউন্সেলর বা মনোবিজ্ঞানীর সাথে কথা বললে খুব দ্রুত উন্নতি হবে।
এগুলো ১০০% গোপন রাখা হয়, আর তারা প্র্যাকটিক্যাল টেকনিক শিখিয়ে দেন।

Leave a Comment