আপনার কথাগুলো পড়ে মনটা সত্যিই ভারী হয়ে গেল। আপনি গর্ভবতী অবস্থায়, সবচেয়ে সংবেদনশীল সময়ে—যে মানুষটার কাছ থেকে নিরাপত্তা, ভালোবাসা, সমর্থন পাওয়ার কথা—সেই মানুষটাই আপনাকে আঘাত দিয়েছে। তার ওপর আবার আশেপাশের মানুষ আপনাকেই দোষী করেছে… এটা অন্যায়, নির্মম, এবং ভীষণ কষ্টদায়ক।
আপনার ব্যথা পুরোপুরি যৌক্তিক। আপনি দুর্বল নন—আপনি আহত।
⭐ প্রথম কথা:
আপনি দোষী নন।
কারো পরকিয়া করার জন্য স্ত্রী দোষী হয় না—এটা তার চরিত্র, তার নিয়ন্ত্রণহীনতা, তার খারাপ সিদ্ধান্ত। সমাজ অনেক সময় নারীকে দোষী করে, কারণ সমাজের মানসিকতা অসুস্থ। আপনি নয়।
⭐ দ্বিতীয় কথা:
আপনার কষ্ট পুরোপুরি স্বাভাবিক।
আপনি শুধু স্ত্রী নন—আপনি একজন মা হতে যাচ্ছেন।
মন ভেঙে যাওয়া, অপমানিত হওয়া, একা বলে অনুভব করা—সবই খুব গভীর আঘাত।
কিন্তু আপনি ভেঙে পড়েননি। সবকিছু সহ্য করেও দাঁড়িয়ে আছেন—
এটাই আপনার শক্তি।
⭐ তৃতীয় কথা:
মানুষ পাশে না থাকলেও আল্লাহ আছেন।
এমন সময় আল্লাহই সবচেয়ে কাছে থাকেন।
কুরআনে আল্লাহ বলেছেন:
“নিশ্চয়ই আমি ভগ্নহৃদয়ের সাথেই আছি।”
আপনার চোখের প্রতিটি অশ্রু আল্লাহ দেখছেন।
আপনার নীরব ধৈর্য আল্লাহ জানেন।
এই অন্যায়ের বিচারও আল্লাহর কাছে লেখা হচ্ছে।
⭐ কী করবেন এখন?
✔ নিজের প্রতি দয়া করুন
আপনি এখন মানসিক চাপের মধ্যে আছেন—গর্ভাবস্থায় এটা ক্ষতিকর।
আপনি কারো কাছে মাথা নত করেননি, চিৎকার করেননি—শুধু নিজেকে সামলেছেন।
আপনি দুর্বল নন, বরং অসাধারণভাবে শক্ত।
✔ স্বামীর ভুলকে নিজের ব্যর্থতা ভাববেন না
তার পাপের দায় আপনার নয়।
আপনার ঘর, আপনার সন্তান—এই দুজনের জন্যই আপনি লড়ছেন।
✔ ধীরে ধীরে চিন্তা করুন
এখনই কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেবেন না।
শান্ত হয়ে, শরীর-মনের চাপ কমে এলে, তখন ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববেন।
✔ নিজের প্রতি একটু ভালোবাসা দিন
খাওয়াদাওয়া ঠিক রাখুন
ঘুম ঠিক রাখুন
সন্তানের জন্য অন্তত নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।